ফ্রান্স, ইতালি, স্পেনের ঘরোয়া ফুটবলে মুগ্ধতা ছড়িয়ে আসা জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ জাদুকরী ফুটবল উপহার দিচ্ছেন ইংলিশ ফুটবলেও। তার জোড়া গোলে এবার সাউথ্যাম্পটনকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে জোসে মরিনিয়োর শিষ্যরা।
অ্যালেক্স ফার্গুসনের বিদায়ের পর কয়েক মৌসুম ধরে এলোমেলো হয়ে পড়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে স্বরূপে ফেরাচ্ছেন এই তারকা স্ট্রাইকার। তার উপস্থিতিতে আগের মতো প্রতিপক্ষের জন্য ভীতিকর দল হয়ে উঠছে ইংল্যান্ডের অন্যতম সফল ক্লাবটি।
শুক্রবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সত্যিকারের প্রথম সুযোগটি পায় সাউথ্যাম্পটন। স্টিভেন ডেভিসের ফ্রি-কিক থেকে বল পেয়ে অল্পের জন্য শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি শেন লং।
দুই মিনিটের মধ্যে ইব্রাহিমোভিচের দুটি প্রচেষ্টা অল্পের জন্য ব্যর্থ হয়ে যায়। প্রথমবার তার বাইসাইকেল কিক লক্ষ্যে থাকেনি, পরেরবার তার ক্রস প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে বিপজ্জনক জায়গায় থাকা রুনি পর্যন্ত যায়নি।
৩৬তম মিনিটে ভক্তদের উল্লাসে মাতান ইব্রাহিমোভিচ। ডান দিক থেকে রুনির ক্রসে ছুটে এসে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি পল পগবা। তবে ব্যর্থ হননি সুইডেনের তারকা স্ট্রাইকার। চমৎকার হেডে বল জালে পাঠান ইব্রাহিমোভিচ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সমতা ফেরানোর সুযোগ তৈরি করে সাউথ্যাম্পটন। প্রতিপক্ষের জালে বলও পাঠিয়েছিল; কিন্তু অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি।
পরের মিনিটে সাউথ্যাম্পটনের জর্ডি ক্লাসি নিজেদের ডি বক্সে লুক শকে অহেতুক ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ইউনাইটেড। ফ্রেসার ফরস্টারকে উল্টো দিকে পাঠিয়ে বার ঘেঁষা শটে ব্যবধান বাড়ান ইব্রাহিমোভিচ। সব ধরনের ফুটবলে ইউনাইটেডের হয়ে তিন ম্যাচে এটি তার চতুর্থ গোল।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে ইউনাইটেডের হয়ে দ্বিতীয় অভিষেক হল পগবার। চার বছর আগে ফ্রি-ট্রান্সফারে দল বদল করা এই মিডফিল্ডার ফিরেছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় হয়ে। গোল না পেলেও ইব্রাহিমোভিচ-রুনির সঙ্গে খেলেছেন তাল মিলিয়েই।
প্রচণ্ড চাপ তৈরি করেও ইউনাইটেডের জমাটরক্ষণ ভাঙতে পারেনি স্যাউথ্যাম্পটন। প্রতি আক্রমণ থেকে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি স্বাগতিকরা।
পাঠকের মতামত